কুরিয়ার সার্ভিসে প্রতারক চক্রের বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা :-
➽ দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছি, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনলাইন শপ থেকে কিছু কেনার ক্ষেত্রে প্রতারণা। আসলে কে প্রতারণা করছে? আমরা কিভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছি? কিভাবে এ ধরনের প্রতারণা এড়িয়ে চলা সম্ভব? আর প্রতারণার শিকার হলে আমরা কিই বা করতে পারি?
প্রতিটা মানুষই সবসময় নিজের কাজগুলো নিজে নিজে করতে সক্ষম হয়না। সহায়তা নিতে হয় অন্য লোকের কিংবা কোন ব্যক্তি সংঘের কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের। মানুষের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের পন্য একস্থান হতে অন্য স্থানে আনা নেয়ার। তেমনি এই কাজটিও সবসময় ব্যক্তি নিজে করতে পারেনা। সহায়তা নিতে হয় বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের। কেউ সহায়তা নেয় পাঠানোর জন্য আবার কেউ সহায়তা নেয় গ্রহন করার জন্য। যারা কোন পন্য পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সেবা গ্রহন করেন, তাদের মাঝে কেউ সাধারণত প্রতারণার শিকার হন না বরং তাদের মাঝ থেকেই কেউ না কেউ প্রতারণা করে থাকেন। পক্ষান্তরে যারা কোন পণ্য গ্রহন করার নিমিত্তে কুরিয়ার সেবা গ্রহন করেন, তারা প্রতারণার শিকার হন। আমরা কি জানি, কেন আমরা সাধারণ গ্রাহকগণ এমন প্রতারণার শিকার হচ্ছি? যারা জানি, আলহামদুলিল্লাহ, তারা বেশ সতর্কতার সাথেই কুরিয়ার সেবা গ্রহণ করি। কিন্তু যারা জানিনা, তারা বোকার মতো দৈনন্দিন প্রতারণার শিকার হচ্ছি। এবার আসুন, আমরা জানার চেষ্টা করি, কে বা কারা প্রতারণা করছে। আর আমরা কিভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছি।
সব ধরনের প্রেরকই কি প্রতারণা করে? এটা ভাবা সম্পূর্ণ অবান্তর। আমাদের পরিচিত জনও তো অনেক কিছু পাঠাতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।আমরা প্রতারিত হই তখনি যখন কোন অপরিচিত মানুষের থেকে কিছু গ্রহন করতে যাই। এবার আমরা আরেকটু পরিষ্কারভাবে জানবো, কে বা কারা কিভাবে প্রতারণা করছে।
কে প্রতারণা করছে?
কুরিয়ার সোবা গ্রহণে কে প্রতারণা করছে, এই প্রশ্নের উত্তরে ঢালাওভাবে সকলকে অন্তর্ভূক্ত করা যায় না। একটু সতর্কতার সাথে চিন্তা করলেই বুঝতে পারব যে, নিম্নোল্লিখিত ব্যক্তিরা আমাদের সাথে প্রতারণা করছে।
১। bikroy.com অপব্যবহার কারী ঃ-
আমরা জানি bikroy.com একটি অনলাইন ভিত্তিক বাজার, যেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষেরা তাদের পন্য বিক্রয়ের জন্য বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে্। সেখানে যে সব ভাল আর বিশ্বস্ত মানুষই বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দেয় এমন নয়। কেউ বিজ্ঞপ্তি দেয় সত্যিকারার্থে তার বিজ্ঞপ্তির পন্যটি বিক্রয় করার জন্য। আবার কেউ বিজ্ঞপ্তি দেয় তার পন্যটি দেখিয়ে প্রতারণা করার জন্য। এক্ষেত্রে কিছু মানুষ উদ্দেশ্য প্রবণ হয়ে bikroy.com কে প্রতারণার বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে। আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে, যে পন্যটি আপনি bikroy.com থেকে কিনছেন, সেই পন্যটি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রীনে যতটা পরিস্কার আর সুন্দর দেখা যায়, বাস্তবে তা কখনোই তেমন হবেনা। একটু লক্ষ্য করুন, আপনি দেখতে যেমন, আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করা ছবিগুলো কিন্তু তার চেয়ে সুন্দর। আর আমরা সাধারণত এটাই বুঝি যে, কোন ব্যক্তি একটি পন্য তখনি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়, যখন সে তা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। কিংবা সে যখন ব্যবহারে সমস্যা মনে করেন। কিংবা হতে পারে তা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বা পারিবারিক প্রয়োজনে। তবে আমি এটাকে কদাচিৎ মনে করি।
২। Facebook এর অপব্যবহার কারী ঃ-
আমরা অনেক সময় facebook এ বিভিন্ন ধরনের বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাই। কিন্ত আমরা কি নিশ্চত হতে পারি যে, সে সত্যিকারার্থে বিক্রয়ের জন্যই বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছে? পারিনা। আমরা জানিও না সে কি উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছে। আমরা না জেনে না বুঝে যখনি কোন কিছু যাচাই বাছাই না করে কিনতে যাই, তখনি তারা প্রতারণার সুযোগ নেয়।
৩। E-commerce Site ও Online Shop (অনিবন্ধিত) ঃ-
অসংখ্য Online Shop এর বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে বেশিরভাগই অনিবন্ধিত। সেগুলোকে অখ্যাতও বলা যায়। বিভিন্ন সময় এমনও হয় যে তারা Online Shop চালু করে বিভিন্ন প্রকার পণ্যের অ্যাড দিয়ে থাকে। গ্রাহকের থেকে সেই পন্যগুলির অর্ডার নিয়ে হঠাৎে করেই সেই Online Shop টি বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে যায়। তখন গ্রাহকেরা, যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে অর্ডার বাবদ পেমেন্ট দিয়েছেন, তারা প্রতারণার শিকার হন। Online Shop গুলির মতো ঠিক কিছু E-commerce Site সাইটও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতারণামূলক কিছু E-commerce Site ও Online Shop এর জন্য অন্য সব বিশ্বস্ত Online Shop গুলিও সাধারণ জনগনের কাছে অবিশ্বাসের বিষয়ে পরিণত হয়। আমাদের স্বস্তির কারণ হবে যে, বাংলাদেশের E-commerce Site গুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য শীঘ্রই আইন হচ্ছে। তখন আমরা প্রতারণামূলক Online Shop এর হাত থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারব।
৪। E-commerce Site ও Online Shop এর অপব্যবহার কারী ঃ-
E-commerce Site ও Online Shop এর পরিচালকেরাই যে শুধু Online বিজনেস করে এমন নয়। এই সাইটগুলি ব্যবহার করে কোন তৃতীয় পক্ষও বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে। এক্ষেত্রে যারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে তারা কোন গ্রাহকের থেকে রেসপন্স পেলে তারা যোগাযোগটিকে ফোনকলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তির পণ্যটি বিক্রয়ের জন্য বিভিন্নভাবে ব্রেইন ওয়াশসহ নিজের পারিবারিক সমস্যার কথা তুলে ধরে। বাবা-মা সহ আপন ভাই বোনের অসুস্থতার কথা বলে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। যাকে আমরা ইমোশোনাল ব্লাকমেইল ও বলে থাকি। এই অবস্থার সম্মুখীন হয়ে কোন গ্রাহক অগ্রিম টাকা-পয়সা প্রদান করে ঐ বিক্রেতার থেকে প্রতারণার শিকার হন।
৫। অধিক মূল্যের পণ্য স্বল্প মূল্যে দেয়ার আশ্বাস প্রদানকারী ঃ-
যদি কোন ব্যক্তি অধিক মূল্যের কোন পণ্য কোন গ্রাহককে খুব স্বল্প মূল্যে দিতে চান, তবে আমাদেরকে ঐ পণ্যটি ক্রযে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটা ৮০,০০০ টাকার পণ্য আমাদেরকে যখন বিক্রয়ের জন্য দেখানো হয়, তখন কিন্তু তা আমাদের মোবাইল স্ক্রীনে কিংবা ল্যাপটপ স্ক্রীনে সুন্দর দেখাবে। কিন্তু আমরা যখন বাস্তবে তা ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকায় পেতে যাব, তখন কি ঐ ছবির মতো সুন্দর দেখাবে? মোটেও দেখাবেনা। আশা করছি আমরা পাঠকেরা বুঝতে পারছি যে, অধিক মূল্যের পণ্য অতি অল্প টাকায় পা্ওয়াটা কেমন হতে পারে।
৬।ইলেক্ট্রিক পণ্য খুব অল্প দামে বিক্রয়ের বিজ্ঞপ্তি দাতা ঃ-
আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, ইলেক্ট্রিক পণ্যের ভাল মন্দের গ্যারান্টি সবসময় কম। আরো যদি হয় সেকেন্য হ্যান্ড পন্য, তাহলে তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা। তাই যদি কখনো কোন ইলেক্ট্রিক পণ্য যথায়থ মূল্যের চেয়ে খুবই কম দামে বিক্রয়ের বিজ্ঞপ্তি পাব, তখন অধিক সতর্কতার সাথে তা কেনার জন্য অগ্রসর হবো। গ্রাম্য একটি প্রবাদ আছে, লোকে বলে “অল্প টাকা যার, কোকরা বেগুর তার”। যদিও কথাটা শুনতে কটু শোনায় তবুও এর বাস্তবতা আছে। একটা বিষয় খেয়াল করুন, আমরা যখন কোন মোবাইল ক্রয়ের জন্য মার্কেটে যাই বা শো-রুমে যাই, তখন তা ক্রয়ের সময় বিভিন্নভাবে চেক করে নিয়ে থাকি। কথা শোনা যায় কি না? চার্জার কানেক্ট পায় কি না? সিম ঠিকমতো সাপোর্ট করে কি না? মিউজিক সাউন্ড কেমন হয়? ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু Online থেকে যখন কোন মোবাইল ্ক্রয় করব, তখন কি সেভাবে চেক করতে পারি? পারিনা। তাহলে আমরা কিভাবে নিশ্চিত হতে পারি যে, আমি যে পন্যটি ক্রয়ের জন্য অর্ডার দিয়েছি, তা ভাল মানের? কোন নিশ্চয়তা যেখানে নেই, সেখানে হাত বাড়িয়ে প্রতারণার শিকার হ্ওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। তবে হ্যাঁ, যিনি পণ্যটি বিক্রয় করছেন, তিনি যদি বিশ্বস্ত হন, তবে সতর্কতা অবল্বন করে ক্রয় করা যেতে পারে।
এবার দেখা যাক, আমরা কিভাবে প্রতারিত হই?
একটা বিষয় আমাদের সবার মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, একজন ভালো মানুষের দ্বারা একজন খারাপ মানুষ কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেনা যেখানে একজন খারাপ মানুষের দ্বারা একজন ভালো মানুষ প্রতিটা ক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এই ধ্যান ধারণা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, ভাল মানুষগুলো সবসময় ক্ষতির মুখাপেক্ষী থাকেন। আরেকটা ব্যাপার সত্যি যে, আমার কাছে মনে হয় যে, অন্যের ক্ষতি সাধন না করে বা অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে নিজেকে বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নামই সত্যিকারের চালাক। কিন্ত বর্তমান সময়ে অন্যকে ঠকানোর নামই চালাকী। আর যিনি অন্যকে ঠকাতে পারেন তিনি চালাক হিসেবে আখ্যায়িত হন। এক্ষেত্রে সমাজের ভাল মানুষগুলো, যারা অন্যকে ঠকায় না, তাদেরকে বোকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যা মানব স্বার্থের বিরোধী। তারপরও একটা কথা বলার থাকে, আমরা যখন কারো কাছে প্রতারণার শিকার হচ্ছি, তখন কোন না কোন ভাবে নিজেদের গাফলতি বা ভুল কিংবা অজ্ঞতার কারণেই হয়ে থাকি।
কিভাবে প্রতারণা এড়িয়ে চলতে পারি?
একটু আগেই বলেছি যে, আমরা প্রতারিত হই মূলত নিজেদের অজ্ঞতা জনিত ভুলের কারণেই। আমরা যেখানে যাচ্ছি সেবা নেওয়ার জন্য, সেখান থেকে সেবা নেয়ার আগে একটু জেনে নিব যে, যারা সেবাটি দিচ্ছে বা দিতে চাচ্ছে, তারা সঠিক আর বিশ্বস্ত কি না? তারা আমাদের পছন্দকৃত পণ্যটি ডেলিভার করার আগে অহেতুক টাকা দাবী করছে কি না? বিভিন্ন কুরিয়ারে ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসটি থাকা স্বত্বেও পণ্যের টাকা আগেই দাবী করছে কি না? অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোন অনলাইন বিজনেস ম্যান ক্যাশ অন ডেলিভারি সম্পর্কে অবগত থাকেন না। সেক্ষেত্রে আমরা যারা অনলাইন শপ থেকে কোন পণ্য ক্রয় করব, তখন (যাদের থেকে ক্রয় করব) তাদের কাছে বলব ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্যটি পাঠাতে। যদি তারা এ ব্যাপারে অবগত না থাকেন তবে তাদেরকে বলব যে কুরিয়ারে তিনি পণ্যটি পাঠাতে চান, সেই কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে। আমাদের দেশের বড় বড় সব কুরিয়ার সার্ভিসেই ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসটি চালু আছে। তাহলে আমরা প্রতারণার মুখোমুখি হবোনা। তাই আমার দৃষ্টি কোণ থেকে আমি বলব যে, আমরা নিজেরা যদি আরেকটু সতর্ক হই, যেখান থেকে যে ধরনের সেবা নিতে চাই, তা ভালভাবে জেনে, বুঝে আরেকটু সতর্কতার সাথে নেয়ার চেষ্টা করি, তবেই যে কোন ধরনের প্রতারণা এড়ানো সম্ভব হবে।
প্রতারণার শিকার হলে আমরা কি করব?
আমাদের যথাসাধ্য সতর্কতা স্বত্ত্বেও যদি আমরা প্রতারণার শিকার হই, তবে আমাদের একটি করণীয় থাকবে। তাহলে যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে সেসেজটি পৌছানো যে, আমি অমুকের থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছি। যদি আমি বা আপনি প্রতারণার শিকার হওয়ার পরও চুপ থাকি, তবে অপরাধীরা আরো বেশী সাহসী আর শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর চুপ থাকার দরুণ আমি বা আপনি অপরাধীদেরকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছি আরো অপরাধ করতে। এক্ষেত্রে যেখান থেকে যেভাবে আমরা প্ররতারণার শিকার হবো, তাদেরকে যদি সহজে ইনডিকেট করা যায়, তবে তাদের সম্পর্কে আমাদের হাতে যে তথ্যগুলি থাকবে, (যেমনঃ- মোবাইল নাম্বার, বিকাশ নাম্বার, রকেট নাম্বার, মোবাইল সিমে আরো অন্য যেকোন ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ইমেইল আইডি, অনলাইন শপের নাম, কিংবা অনলাইন শপে আরো যা তথ্য থাকবে।) তা সংরক্ষণ করে নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করব। আর যদি তাদেরকে সহজে নির্দেশ করা না যায় বা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তবে থানায় গিয়ে পুলিশ ভাইদের কাছে অভিযোগ করব। পুলিশের সাইবার ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট থেকে তারা অতি দ্রুতই অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের কাছে সোপর্দ করবে। যা আমার বা আপনার সহ অন্য সব গ্রাহকের জন্য মঙ্গলময় হবে।
লেখার এ পর্যায়ে সম্মানিত পাঠককে শান্তি আর সুখের বার্তার জন্য প্রত্যাশা করে সকল প্রকার অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকার প্রার্থনা জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। [নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভাল রাখুন।]
No comments